প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলেন আব্দুল্লাহ


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হওয়া সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ১৩৭ জুলাই (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শাহাদাত বরণ করেছেন । 

জানা গেছে, বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ। আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী।

আব্দুল্লাহর সহপাঠীরা জানান, তার কপালের মাঝ বরাবর গুলি লেগেছিল। গুলিবিদ্ধ হওয়া স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। অল্পের জন্য ব্রেন রক্ষা পায়। এমন অবস্থায় প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলেন আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অপারেশনের পর ডাক্তাররা তাকে আশ্বস্ত করেন সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে। দুইদিন পর তাকে রিলিজ দিলে বাসায় চলে যান।

আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা জানান, যশোরে যাওয়ার পর ব্যথা বাড়লে আবার ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। চিকিৎসকরা মাথায় ভেতরে ইনফেকশন হয়েছে বলে জানায়। ঢামেকে ফের অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না দেখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় তাকে ২২ আগস্ট সিএমএইচে স্থানান্তরিত করা হয়।

তারা আরও জানান, সিএমএইচে আব্দুল্লাহর প্রথম অবস্থায় উন্নতি দেখা গেলেও কিছুদিন পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয়। ইর্ন্টানাল ব্লিডিংয়ের কারণে তার মাথায় ‘ব্লাড ইনফেকশন’ হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে নিম্নবিত্ত পরিবার সেই ব্যবস্থা করতে পারেনি। অবশেষে তিনি না ফেরার দেশের যাত্রী হলেন।

আব্দুল্লাহর বাবা কৃষিকাজের পাশাপাশি একটি দোকান চালাতেন। তার বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। বাবা-মা ছাড়াও তিনি ভাই এক বোন আছে তার। পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন আব্দুল্লাহ।

তথ্যসূত্র: সমকাল

#Tales_of_July

Post a Comment

Previous Post Next Post