মায়া ইসলামের ছেলে মুস্তাফিজুর জানান, তাঁর বাসা রাজধানীর রামপুরা থানার সামনে মেরাদিয়া হাট এলাকায়। সাততলা বাড়ির ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তিনি। সেখানে তাঁর বাবা, স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে মা মায়া ইসলাম থাকতেন। মালিবাগ বাজারে একটি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান রয়েছে তাঁর।
মায়া ইসলামের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে মুস্তাফিজুর ছোট। তিনি বলেন, ১৯ জুলাই বাইরে বিক্ষোভ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে বেলা তিনটার দিকে তাঁর মা নাতি বাসিতকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামেন। উদ্দেশ্য ছিল আইসক্রিম কেনা। নিচে নেমে দেখেন বাসার কলাপসিবল গেট ও প্রধান দরজা বন্ধ। তখনই গুলি এসে সামনে থাকা বাসিতকে প্রথম আঘাত করে। গুলি বাসিতের মাথার বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তারপর তাঁর মায়ের তলপেট দিয়ে ঢুকে পেছনের দেয়ালে লাগে।
গুলিবিদ্ধ মায়া ইসলামকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাঁরা যান এক স্বজনের বাসায়। পরদিন ২০ জুলাই সকালে মায়া ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আর নাতি বাসিত আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
#Tales_of_July
Post a Comment