আর পাঁচ দিন পরই (১৯ আগস্ট) ১৫ বছরে পা দিত দশম শ্রেণির ছাত্রী নাঈমা সুলতানা। গত ১৯ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে উত্তরার বাসার বারান্দায় শুকাতে দেওয়া কাপড় আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ও আইনুন নাহার দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে নাঈমা ছিল দ্বিতীয়। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ছিল। তার দাফন হয় গ্রামের বাড়িতে।
নাঈমার মা আইনুন নাহার বলেন, ‘সন্তানদের ভালো পড়াশোনা করাতে ওদের বাবা ওদের ঢাকার স্কুল-কলেজে ভর্তি করিয়ে দেন। উত্তরায় ভাড়া বাসায় আমি ওদের সঙ্গে থাকতাম। ওর বাবা গ্রামেই থাকেন। অথচ ঢাকায় এসে বাসায় সন্তানকে হারাতে হলো।’
উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের পাঁচতলা একটি ভবনের চারতলায় থাকেন আইনুন নাহার। তিনি জানান, ঘটনার দিন তিনি ফ্ল্যাটের সব দরজা-জানালা বন্ধ রেখেছিলেন। বিকেলে ছবি আঁকছিল নাঈমা। মাকে বলেছিল সে পিৎজা বানাবে। একপর্যায়ে ‘বারান্দা থেকে কাপড় নিয়ে আসি’ বলে নাঈমা বারান্দার দিকে যায়। তিনিও পেছন পেছন যান। বারান্দার দরজা খোলামাত্র গুলি এসে নাঈমার মাথায় ঢুকে যায়।
আইনুন নাহার বলেন, ‘নিজের বাসায় এভাবে অনিরাপদ হয়ে পড়ব, ভাবিনি। সবকিছুতে এখন আমাদের ভয় ঢুকে গেছে। এত রক্ত দেখে ছোট ছেলে (৮ বছর বয়সী আবদুর রহমান) অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ঘুম থেকে চিৎকার করে ওঠে। বলে, “মা গুলি আসছে, গুলি”।’ তিনি বলেন, ‘নাঈমা চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।’
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
#Tales_of_July
Post a Comment