বয়সে তরুণতর হাসান আফিফ। মা বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে জুলাই আন্দোলনে যুক্ত হয় আফতাবনগরে। তার বড়চাচা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করায় ১৩ জুলাই গ্রেফতার হয়। চাচার সঙ্গে থাকায় এই বয়সেও মামলা হয়। গ্রেফতার এড়াতে তাকে দাদাবাড়ি ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দেয় পরিবার। সেখানে গিয়েও আন্দোলনে যুক্ত হন।
সে প্রসঙ্গে আফিফ জানান, ১৮ জুলাই সকাল ১১টায় বের হই। ময়মনসিংহ তেমন আলোড়ন না হওয়ায় আমার ক্ষোভ ছিল। তাই সরাসরি সিটি কর্পোরেশন রওনা হই বন্ধু জুবায়েরকে নিয়ে। বাকৃবি এক বড়ভাইকে কল করলে কিছু লোক পাঠায়। তাদের নিয়ে জড়ো হই। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভাঙা শুরু করি। তারা টিয়ারসেল মারে। তারপর গুলির আওয়াজ। আমার চোখ জলছিলো। ভয়ে কালেমা পড়ছিলাম। হঠাৎ পায়ে কয়েকটা গুলি লাগে। রক্ত বের হলেও টের পেলাম না। ভয়ে অজ্ঞান হয়ে এলাম। রাতে দেখি মেডিক্যালে। পাশে আম্মু আর নানাভাই। আমায় বাসায় নিয়ে যাবে। কারন অনেক জায়গায় আহতদের নামে মামলা হয়েছে। ফলে কিছুদিন স্বেচ্ছায় গা ঢাকা দিয়ে ছিলাম।
*
হাসান আফিফ, কবি।
Post a Comment