১৯ শে জুলাই সারাদেশে অনিশ্চয়তা,কেউ কারো খবর পাচ্ছে না। ইন্টারনেট ব্লাকআউট। মোবাইকে মেসেজ কিনে সিমে সিমে টেক্সট পাঠানোর মাধ্যমে খবর আদান প্রদান চলছিলো।
ক্যাম্পাস ফাঁকা মেসগুলোতে পুলিশ আর ছাত্রলীগের ছেলেরা এসে খুঁজে খুঁজে স্টুডেন্টদের বের করে দিয়েছে। কিন্তু আমি অনড় ক্যাম্পাসেই থাকবো। শহরে বেশ কিছু জায়গায় থাকার সুযোগ থাকলেও যাইনি, শহর বেশি অনিরাপদ মনে হইছিলো।
১৯ জুলাই মানুষ কি ময়দানে নামবে কোথায় প্রোগ্রাম হবে কিছুই জানতে পারছিলাম না। দিনটি ছিলো শুক্রবার। জুমার নামাজকে উপলক্ষ্য করে অন্তত মানুষ একত্রিত হবে এইটা মাথায় ছিলো।
দুপুর ১২ টার বেশি বেজে গেছে তখন সমন্বয়ক মাহফুজ ভাইরে কল করতে জানতে পারলাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে মিছিল বের হবে।
এ কথা শুনে ৩০ কিলো দূরের আন্দরকিল্লা যাবার জন্য দ্রুত বের হয়ে যাই। সঙ্গী গাজীপুরের বন্ধু তামিম। দুজনে আন্দরকিল্লা পৌঁছে যা দেখলাম অভাবনীয়। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও মানুষের উপস্থিতি কমেনি।
নামাজ শেষে গায়েবানা জানাযা ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে। অতঃপর জঙ্গিমিছিল।সবার হাতে লাঠি ইট, হামলা হলে পাল্টা জবাবের জন্য সবাই তৈরি। সেদিন কয়েক কিলো লম্বা ছিলো আমাদের মিছিল। কাজির দেউরি আসার পর পুলিশ টিয়াশেল গুলি শুরু করে। মিছিল বিচ্ছিন্ন হয়।আন্দোলনকারীরাও প্রতিহতের চেষ্টা করে।
ঢাকার পরে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধগুলো চট্টগ্রামেই হয়েছিলো। তখনি ধরেছিলাম বীর চট্টলা জাগলে রুখবার সাহস কার?
পরেরদিন পত্রিকা খুলে দেখি সাড়ে চার হাজার মানুষকে আসামী করে বেশ কয়েকটি মামলা ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভয় অনিশ্চয়তা নিয়ে দিনপাতি যাচ্ছিলো...
লেখাটি ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া
#Tales_of_July
Post a Comment